0 0
0
No products in the cart.

Welcome to Ghashful Online Shopping Store!

আম গাছের পরিচর্যা । আগাছা দমন । আমের ভালো ফলন নিশ্চিত করতে করণীয়

Jan 03, 2022 / By System Admin / in Ecommerce , Commercial

আম হলো বাংলাদেশে ফলের রাজা এবং আমগাছ হলো জাতীয় গাছ। আম উষ্ণ ও অবউষ্ণম-লীয় অঞ্চলের সাধারণত জন্মে। আমের উৎপত্তিস্থল ইন্দো-বার্মা অঞ্চলে বলে ধারণা করা হয় তবে ভারতীয় উপমহাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল আম কারণ এ ফল বৈচিত্র্যপূর্ণ ব্যবহার, গন্ধে ও স্বাদে পুষ্টিমান অতুলনীয়। দেশের উরাঞ্চলে এর বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক চাষ হয়ে থাকে তবে বাংলাদেশে সব অঞ্চলে আম জন্মে কিন্তু। অনেক চাষিরা প্রতি বছর ক্ষতির শিকার হয়ে থাকেন ক্ষতির সাধারণত দুই প্রকারের সমস্যার কারণে যথা- ১. প্রাকৃতিক কারণ (যেমন- শিলাবৃষ্টি,ঝড়, খরা প্রভৃতি) এবং (আ) রোগ ও পোকামাকড় দ্বারা আক্রান্ত হয়ে। দ্বিতীয় ক্ষতি প্রায় সম্পূর্ণ রূপে সমাধান করা সম্ভব এবং সঠিক পরিচর্যা ও রোগ-পোকামাকড় দমন করে প্রথম ক্ষতি আংশিক। নিচে আলোচনা করা হলো-

আম গাছের পরিচর্চা :আম গাছের ফলন বাড়ানোর এবং ফলধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি জন্য নিম্নলিখিত পরিচর্চাগুলো গুলো প্রয়োজন।

 

আগাছা দমন : এছাড়া বর্ষার আগে চাষ দিয়ে জমির মাটি উল্টে দিতে পারলে ঝরে পড়া পাতা ও আগাছা মাটিতে চাপা পড়ে যায় এবং পচে জৈব সারে পরিণত হয়। ফলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।  আমবাগানে একাধিক জাতের আগাছা জন্মাতে দেখা যায়, যা গাছের স্বাস্থ্যের ও স্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রতি ক্ষতিকর। পরগাছাসমূহে শিকড়ের মধ্যে এক প্রকার হস্টোরিয়া হয়, যা গাছের মধ্যে প্রবেশ করে রস শোষণ করে এবং দুর্বল করে। পরগাছার পাদুর্ভাব বেশি হলে গাছের পাতার আকার ছোট হয় ও ফ্যাকাসে হয় এবং অনেক সময় গাছ মারা যায়। এর ফলে গাছের ফলন মারাত্মকভাবে কমে যায়। তাই ভালো ফলন পেতে হলে অবশ্যই পরগাছা অপসারণ করতে হবে। 

 

সার প্রয়োগ : ফল উৎপাদনের ও গাছের বৃদ্ধি জন্য সারের ব্যবহার একান্ত প্রয়োজন। সারের পরিমাণ ফলন্ত গাছের আকার, বয়স ও মাটির উর্বরতার ওপর  নির্ভর করে। যতটুকু স্থানে দুপুর বেলা  ছায়া পড়ে সেটুকু স্থানে মাটি কুপিয়ে মাটির সঙ্গে সার মিশিয়ে দিতে হবে।

 

সেচ প্রয়োগ : জমির ওপর স্তরে প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান থাকে বা  মাটিতে সার মিশিয়ে দেয়া হয় তাই আম বাগানের ওপরের ২.৫-৩.২৫ মিটার অংশকে জমির পানি সংরক্ষণ স্তর হিসেবে ধরা হয়। শুষ্ক মৌসুমে আম বাগানে পানির সেচ দেয়া দরকার। আমের গুটি দানারমতো হওয়ার পর থেকে ২০-২৫ দিন পর পর ৩-৪ বার সেচ দিলে গুটি ঝরা বন্ধ হয়।