0 0
0
No products in the cart.

Welcome to Ghashful Online Shopping Store!

পরিবেশবান্ধব জৈবসার উৎপাদনে মোঃ ইকবাল হোসেন

Aug 27, 2023 / By System Admin / in Ecommerce

আমার নাম মোঃ ইকবাল হোসেন নিয়ামতপুর উপজেলার একজন কৃষি উদ্যোক্তা। ২০২০ সালে আমি ঘাসফুলের সদস্য হই। তারপর ঘাসফুল এসইপি প্রকল্প কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহন করি। ঘাসফুল কর্তৃক আয়োজিত জৈবসার (ভার্মি ও ট্রাইকো কম্পোস্ট) এবং জৈব বালাইনাশক উৎপাদন ও ব্যবহার প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করার পর জৈবসার উৎপাদনে আমার আগ্রহ তৈরি হয়। এবং বাগান পরিচর্যায় জৈবসার ক্রয়ের পরিবর্তে নিজে জৈবসার উৎপাদনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করি। জৈবসার প্লান্ট নির্মাণের ব্যাপারে কোন প্রকার কারিগরি জ্ঞান না থাকায় আমি ঘাসফুল এসইপি টিমের সাথে যোগাযোগ করে আমার আগ্রহের কথা জানায়। ঘাসফুল এসইপি টিম আমাকে জৈব সার উৎপাদনে সকল ধরণের টেকনিক্যাল সহায়তা প্রধান করে এবং তাদের মারফত জানতে পারি যে ঘাসফুল জৈবসার উৎপাদনে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। তারপর আমি জৈবসার প্লান্ট তৈরির উপর ঋণের জন্য আবেদন করি এবং ৫০০০০ হাজার টাকা ঋণ সহায়তা পাই। ঐ টাকা আমার ভার্মি কম্পোস্ট প্লান্টে বিনিয়োগ করি এবং ৫ টন ক্যাপাসিটির ভার্মি কম্পোস্ট প্লান্ট নির্মাণ করি।

প্লান্টের অবকাঠামো তৈরিতে খরচ হয় ৭৫ হাজার টাকা। কেঁচো সংগ্রহের ক্ষেত্রে আমাকে সর্বাত্ত্বক সহায়তা করে ঘাসফুলের এসইপি প্রজেক্ট। কেঁচো ক্রয় করতে আমার খরচ হয় প্রায় ১৩ হাজার টাকা। নিজস্ব গরুর খামার থাকায় আপাতত গোবরের চাহিদা আমার খামার থেকেই মেটাচ্ছি। আমার এই প্লান্ট থেকে প্রতি ধাপে প্রায় ৫ টন করে জৈবসার উৎপাদন হয়। 

প্রাথমিকভাবে এই কমপোস্ট প্ল্যান্টটি থেকে যে সার উৎপাদন হচ্ছে সেগুলো আমার আম বাগানের জৈব সারের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। পাশাপাশি অবশিষ্ট সার আমি বাজারজাত করছি। বাজারজাতকরণে আমাকে সর্বাত্বক  সহায়তা করছে ঘাসফুল এসইপি প্রজেক্ট। ইতিমধ্যে নিয়ামতপুর উপজেলার অনেক আমচাষী  যোগাযোগ করে জৈব সার ক্রয়ের ব্যাপারে, প্রায় ১ টন ভার্মি কম্পোস্ট বাজারজাত করেছি। ভবিষ্যতে এই প্ল্যান্টি আরো বড় করে করার পরিকল্পনা আছে।

একজন কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে আমার বাগানের মাটির গুনাগুণ বজায় রাখার জন্য এই জৈবসার ব্যবহার করি। আমি মনে করি যেকোন ফসলের জন্য জৈবসার হল মাটির প্রাণ। জৈব সার ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করে, এবং গুণগত মান বাড়ায়। মাটিতে জৈব পদার্থ যত বেশী থাকবে ততই মাটির উৎপাদন ক্ষমতা অধিক হবে। জৈব সার ব্যবহারে মাটির উপকারী জীবাণুর ক্রিয়া বেড়ে যায় এবং এদের বংশ বিস্তারে সহায়ক হয়। এতে সহজতর উপায়ে গাছ মাটি থেকে খাদ্য উপাদান গ্রহন করে দ্রুত বড় হতে পারে। আমার এই প্ল্যান্ট নির্মাণে সার্বিক সহায়তার জন্য আমি ঘাসফুল এসইপি প্রকল্পের কাছে চির কৃতজ্ঞ।